শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও পিকাপ গাড়ি সহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৪ জন ডাকাত গ্রেফতার। কেরাণীগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে — গয়েশ্বর কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিজয় র‌্যালী। গণঅভ্যুত্থান দিবস ও সরকার পতনের বর্ষপূর্তিতে চাঁদপুরে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের বিজয় র‍্যালি। সীমাহীন যাত্রী ভোগান্তি চরমে কদমতলী এলাকায় ডিসি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জে তরুণরা। চাঁদপুরে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কনে ফুটে উঠল রক্তাক্ত জুলাই ‘২৪-এর রঙে’ শিক্ষার্থীদের তুলিতে স্বাধীনতার বীরগাঁথা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি বিরোধী অভিযানে সেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার ।

স্মৃতিতে শাম্মী আখতার

২০১০ সালে আমার নির্মিত ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবির টাইটেল গানটি শাম্মী আপা গেয়েছেন। এই গানটি দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। পুরস্কার হাতে নিয়ে আনন্দ আর আবেগে সেদিন আমাকে জড়িয়ে কেঁদেছিলেন।

নিভৃতচারী গুণী মানুষ ছিলেন শাম্মী আপা। গান গাওয়াটাকেই জীবনের ধ্যান ও জ্ঞান হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। প্রচার, চাকচিক্য কোনোদিন মনে হয় তাকে টানেনি। অন্তত আমি তাকে যেভাবে দেখেছি খুবই সাধারণ মানুষ হিসেবেই তিনি ধরা দিয়েছেন। যা তার প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল করেছে আমাকে।

তিনি সারা দেশের শ্রোতাদের কাছেই অনেক শ্রদ্ধার মানুষ ও শিল্পী। আমি তার গায়কীর ভক্ত ছিলাম। ভাগ্যক্রমে একটি কাজ করার সুযোগ আমি পেয়েছি। সেই সুযোগ আমাকে অনেক স্মৃতি উপহার দিয়েছে।

আমি যখন ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ সিনেমাটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখনই পরিকল্পনা করেছিলাম শাম্মী আপার বহুল জনপ্রিয় গানটি আমি সিনেমাতে ব্যবহার করব। এ গানটি তিনি গেয়েছিলেন আশির দশকের দিকে। খুব জনপ্রিয় ছিল।

আমার ছবির টাইটেল ট্র্যাক হিসেবেই এ গানটি নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেই। গানের মূল শিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের দিয়েই গানটি করাব। সেই লক্ষ্যেই গানটির সুর ও সঙ্গীতকার শ্রদ্ধেয় শেখ সাদী খানের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি রাজি হলেন। নতুন করে তৈরি হল গানটির মিউজিক। মনিরুজ্জামান মনির ছিলেন গানটির গীতিকার। সব রেডি করে শাম্মী আপাকে নিয়ে আসা হল গানের কণ্ঠ দেয়ার জন্য।

তিনি স্টুডিওতে ঢুকে অস্বস্তিবোধ করছিলেন। আমাদের সঙ্গে তার পরিচিতি বা সখ্যতা ছিল না। জেনারেশনের গ্যাপ ছিল। সেজন্যই তিনি আনইজি ফিল করছিলেন।

শেখ সাদী সাহেব উনাকে ইজি করার চেষ্টা করলেন। সেদিন আর গানের রেকর্ড হয়নি। আমরা আবারও স্টুডিও ভাড়া নিলাম। তিনি নিজের মতো করে গানটি যেন গাইতে পারেন সেজন্য তাকে নিয়ে আড্ডা দিলাম। বললাম, যতদিন সময় লাগে লাগুক। এ গান আপনাকেই গাইতে হবে।

অবশেষে তিনিই গানটি গাইলেন। আমি শান্তি পেলাম।’ ‘সবাই তাকে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গানের মানুষ বলেন। আমি তাকে একজন চলচ্চিত্রশিল্পী হিসেবেই সম্মান করি। তিনি চলচ্চিত্র ভালোবাসতেন। চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। অনেকদিন কষ্ট করেছেন শেষ জীবনে। আল্লাহ আমাদের অদেখা পৃথিবীতে শাম্মী আপাকে ভালো রাখুন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল আমার।

লেখক : বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host